অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : প্রতিবেশী দেশ ভারতের পণ্য আমদানি-রপ্তানির জন্য চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের সকল প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। পুরোদমে কাজ শুরু হলে দেশের রাজস্ব বাড়ার পাশপাশি ভারতের ‘সেভেন সিস্টার্স’ রাজ্যগুলোতে কম সময়ে ও কম খরচে পণ্য পরিবহনের সুযোগ তৈরি হবে।
আসাম, অরুণাচল, মেঘালয়, মনিপুর, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম ও ত্রিপুরা- ভারতের এই সাত রাজ্য ‘নর্থইস্ট’ নামেই পরিচিত। রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক বিবেচনায় এ সাত রাজ্যকে ‘সেভেন সিস্টার্স’ হিসেবেও অভিহিত করা হয়। এখানে প্রায় চার কোটি মানুষের বসবাস।
পণ্যবোঝাই ট্রাক পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা থেকে ত্রিপুরায় আসতে সময় লাগে প্রায় ৫০ ঘণ্টা। ভাড়া ৬৫ হাজার ভারতীয় রুপি। অথচ বাংলাদেশের সীমান্ত ব্যবহার করলে সময় লাগবে মাত্র ১০ ঘণ্টা এবং ভাড়া কমবে ৪৩ হাজার ভারতীয় রুপি।
এদিকে, ট্রান্স শিপমেন্টের মাধ্যমে ভারতীয় পণ্য সড়ক পথে চট্টগ্রাম বন্দরে আনা-নেয়ার জন্য রামগড় সীমান্তে ১২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থলবন্দর নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানালেন রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত।
ভারতের সাত রাজ্যের চাহিদা যাই-ই হোক, সেটা খুব সহজেই পরিচালনা করা যাবে বলে মনে করছেন চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়াল এডমিরাল মোহাম্মদ শাহাজাহান।
এ ক্ষেত্রে সবধরণের প্রস্তুতি রয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমসেরও। সরকারি-বেসরকারি সবধরণের খরচ বাবদ এক কন্টেইনার পণ্য হ্যান্ডলিংয়ে বাংলাদেশের আয় ২ লাখ টাকারও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানালেন চট্টগ্রাম কাস্টমসের ডিসি ব্যারিস্টার বদরুজ্জামান মুন্সী।
চলতি বছরের ৭ সেপ্টেম্বর কলকাতা থেকে স্টিলের এক চালান কন্টেইনার চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে আসামে পাঠানো হয় মাত্র ১৯ ঘণ্টায়।
Leave a Reply